বরগুনা: সারাদিন প্রচণ্ড গরম শেষে ভোররাতে হঠাৎ শুরু হয়েছে বৃষ্টি। একই সাথে বইছে ঠান্ডা বাতাস। এতে আতঙ্কে পরেছে বরগুনাবাসী।
শুক্রবার (৩ মে) ভোররাতে সাড়ে ৩ টার দিকে বৃষ্টি ও ঠান্ডা বাতাস শুরু হওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে বরগুনার নদী পাড়ের মানুষ।
সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর লক্ষণ শুরুর সেই বিপদ সংকেত ঘোষণার পর থেকে বরগুনা সদর সহ ৬ উপজেলার মানুষ নিজেদের জানমাল রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের পায়রা নদীর পাড়ের বাসিন্দা কিরন হাওলাদার জানান, ভোররাতে বৃষ্টি শুরু হইছে। আল্লাই জানে এবার কি হয়। শুনেছি সিডরের চেয়েও মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় হবে। তাই আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে সকাল হলেই পার্শ্ববর্তী স্কুলের সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে আশ্রয় নেবো। আমার মতো অনেকে শেল্টারে আশ্রয় নিবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ জানান, মানুষের জীবন ও জানমাল রক্ষা করতে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বরগুনায় ৩৩৫টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে রাখা হয়েছে। এতে অন্তত ২ লাখ মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবে।এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ে সম্ভাব্য ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে দুই’শ ২৬ বান্ডিল ঢেউটিন, চার’শ ২৩ মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য, নগদ ১৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।